অনলাইন ডেস্ক ::
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়ার ব্যাপারে আগামী দুই দিনের মধ্যে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২৩ দলীয় জোট।
শনিবার (১০ নভেম্বর ২০১৮) রাতে জোটের অন্যতম শরিক দল এলডিপি সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ ২৩ দলের বৈঠক শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ২৩ দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
অলি আহমদ বলেন, ‘জোটের প্রধান দল বিএনপি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে কথা বলে আগামী দুই দিনের মধ্যে নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। আমাদের প্রধান দাবি ছিল খালেদা জিয়ার মুক্তি, সেটা এখনও পূরণ হয়নি। বিরোধী নেতাকর্মীদের হয়রানি না করার প্রতিশ্রুতি কাগজে কলমে রয়ে গেছে। এখনও গ্রেপ্তার, মামলা অব্যাহত রয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলেছে, জোটগত নির্বাচন করতে হলে ১১ নভেম্বরের মধ্যে চিঠি দিয়ে জানাতে হবে, তাহলে সেক্ষেত্রে আপনারা কী করবেন? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে অলি আহমদ বলেন, আমরা ইসিকে ২ ভাবেই চিঠি দিবো, যাতে সময় বাড়ানো হয়। সেক্ষেত্রে যদি ২৩ দলীয় জোট নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, তাহলে অনেকে ধানের শীষে নির্বাচন করবেন, আবার কেউ কেউ নিজের দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেন। নিবন্ধিত দলগুলোর প্রতীক হবে নিজ দলের। আর অনিবন্ধিত দলগুলোর প্রতীক হবে বিএনপির প্রতীক।’
নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করতে ২৩ দলীয় জোটের শরিকদের সঙ্গে শনিবার সন্ধ্যায় বৈঠকে বসে বিএনপি। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গুলশানে বিএনপি’র চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম।
বৈঠকে এলডিপি সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ ছাড়াও জামায়াত নেতা মাওলানা আব্দুল হালিম, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মাদ ইব্রাহীম, বিজেপি চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাগপার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ন্যাপের (একাংশ) সভাপতি শাওন সাদিক, বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট চেয়ারম্যান অ্ডযাডভোকেট আব্দুর রকিব, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম মহাসচিব নুর হোসেন কাসেমী, এনডিপি চেয়ারম্যান আব্দুল মোকাদ্দিম, জমিয়তের নির্বাহী সভাপতি মুফতি ওয়াক্কাস, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, ডেমোক্র্যাটিক লীগের সভাপতি সাইফুদ্দিন মনি, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাঈদ আহমেদ, ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান আবু তাহের চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
২০ দল এর আগে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্যরা চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈঠক করেন।
বিএনপির জরুরি ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান প্রমুখ।
এখন সবার মনে একটাই প্রশ্ন বিএনপি কি আদৌ নির্বাচনে অংশ নেবে নাকি আন্দোলনের পথে হাঁটবে।
এছাড়া রাত ৮টায় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠক রয়েছে। ড. কামালের মতিঝিলের চেম্বারে হওয়ার কথা ছিল ওই বৈঠক। কিন্তু পরে গুলশানেই বৈঠকে বসে নেতারা। মূলত ওই বৈঠকের পরই জানা যাবে বিএনপির নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত।
পাঠকের মতামত: